ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘রেমাল’ কেন?

জাতীয় ডেস্ক

মে ২৬, ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম

ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘রেমাল’ কেন?

প্রতীকী ছবি

ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে রেমাল। সেই সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক।

রোববার (২৬ মে) পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নং মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এখন বৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অনেকের মনে যেমন ভীতি তৈরি হয়েছে, তেমনি কৌতুহলও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির নাম নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রেমাল’ নামটি ওমানের দেওয়া। ‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো ‘বালু’।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে আরব মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এতে আছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন। ঝড়ের নাম ঠিক করতে সব দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে থাকে। প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোনের কাছে সেই নামগুলোর একটি তালিকা তৈরি হয়। এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯ ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছে। সেই তালিকা থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘রেমাল’।

ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকেই এর আগের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিল ইয়েমেনের দেওয়া ‘মোখা’। আর এবার ওমানের দেওয়া নাম ‘রেমাল’। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেবে পাকিস্তান।

প্রবলভাবে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তি হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ২৫ মে সন্ধ্যায় গভীর নিম্নচাপ থেকে এটা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, উপকূল অতিক্রমের সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।

Link copied!