আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, এই সরকারের আমলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনবার নির্বাচন করে মার খেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটাররা ভোট দিতে আসুক। কিন্তু মার খেলাম।
তিনি বলেন, হামলায় আমি মারাও যেতে পারতাম। নির্বাচন করতে এসে আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পছন্দ না হলে আমাকে ভোট দিয়েন না। কিন্তু আমাকে মারার কোনো অধিকার দেওয়া হয় নাই। সেদিন যেভাবে মারা হয়েছে একমাত্র আল্লাহর জন্য আমি বেঁচে আছি। পাষণ্ডের মতো মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তারা আমাকে মেরেছে।
হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ডিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচনের মাঠে একদিকে মার খেতে হচ্ছে, টাকা পয়সা যাচ্ছে। তাদের আবার মামলারও শিকার হতে হচ্ছে। মানুষ যদি এত কিছুর শিকার হয় তারা তো নির্বাচনে যাবে না। আমার মনে হয় না, আর কখনও কেউ নির্বাচনে আসতে পারে।
পুলিশ কি সেদিন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল? জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আমার ওপর যখন হামলা হয় তখন পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে সত্যি ব্যর্থ হয়েছিল। পুলিশ ইচ্ছা করলে তাদের কর্তব্য পালন করতে পারতো। প্রথমে একটা ছেলে আমাকে ঘুসি মারে। আমি কিন্তু দৌড়ে গিয়ে তাকে বলেছি এই ঘুসি মারলি কেন? আমি পুলিশকে বলছি, এই লোকটি আমাকে ঘুসি মেরেছে। পুলিশ কিন্তু তাকে ধরেনি। উল্টো আমাকে ধরে রেখেছিল। পুলিশের উচিত ছিল তাকে ধরা। তাহলে আর কেউ আমার ওপর হাত দিতে পারতো না। সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কেন নীরবতা পালন করেছিল সেটি আমি জানতে চেয়েছি ডিবি প্রধান হারুন সাহেবের কাছে।
উল্লেখ্য, উপনির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করে। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।