টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা এই মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এর মধ্যে খান আহমেদ শুভর ঋণখেলাপির জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এছাড়া পার্টির নিবন্ধন না থাকায় ওই দলের প্রার্থী পির সৈয়দ আলমগীর হোসেন এবং এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আরজু মিয়া ও নুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির, ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের রূপা রায় চৌধুরীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। চারজনের মনোনয়ন বাতিল এবং তিনজনের মনোনয়ন বৈধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাহিদুল নবী চৌধুরী।
ঢাকায় ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় খতিব খান নামক এক ব্যক্তির ছয় লাখ টাকার একটি ঋণের জিম্মাদার ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। এই ঋণখেলাপি বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
খান আহমেদ শুভ বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ঋণী নই। আমি একজনের ঋণের গ্যারান্টার (জিম্মাদার) ছিলাম। ওই ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্ধারিত সময়ে জানানো হয়নি। তাই খেলাপি তালিকায় নাম এসেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আপিলে আমার প্রার্থিতা ফিরে পাব বলে আশা করি।”