ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের সুযোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো ১৩টি রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় অনুষ্ঠান চলছে।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতবিনিময় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মতবিনিময় শুরুর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে আমরা এখনও কোন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা হচ্ছে গণমাধ্যমে। তাই আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি আপনাদের বক্তব্য শোনার জন্য। এ বিষয়ে যে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন।”
সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, “আপনারা জানেন কিছুদিন আগেও আমরা ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন করেছি। তারপরও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল এবং পত্র-পত্রিকায় ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু আমরা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি, সেহেতু এ বিষয় সকলের মতামত প্রয়োজন। আপনাদের মতামত স্বাধীন মতামত হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”
সিইসি আরও বলেন, “আমরা কারো ওপর কোন মতামত চাপিয়ে দিতে পারি না, চাপিয়ে দিবোও না। সেই ধরনের কোন ইচ্ছাও আমাদের নেই। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেয়া।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক ৩৯টি দলকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে ইসি। এজন্য তিন ধাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার প্রথম ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নিবন্ধিত বাকি দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে। এক্ষেত্রে দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম/প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ ও শেষ ধাপে ২৮ জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রবিবার যেসব দল ইসি’র আমন্ত্রণ পেয়েছে
জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।