এবারের ঈদযাত্রা চ্যালেঞ্জিং হবে: আইজিপি

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২৪, ২০২৩, ০৯:৪৮ পিএম

এবারের ঈদযাত্রা চ্যালেঞ্জিং হবে: আইজিপি

সংগৃহীত ছবি

গত ঈদের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘গতবার মহাসড়কে শুধু যাত্রী পারের গাড়ি ছিল। এবার একদিকে যাত্রীরা গন্তব্যে যাবেন। অন্যদিকে, পশুবাহী ট্রাক, নৌযান মহাসড়ক ও নদীতে চলাচল করবে। তাছাড়া ফলবাহী যানবাহনও আসবে এগুলোকে আটকানো যাবে না। সবকিছু বিবেচনায় রেখে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।’

শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন ও যাত্রীদের কাছে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘ঈদযাত্রা নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সভা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সড়ক পরিবহন, রেলওয়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পুলিশ সদরদফতর এবং প্রত্যেকটি জেলায় সব স্টেকহোল্ডার, মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা সবাই একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আশা করছি, এবারও সবার সহযোগিতায় যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’

তিনি বলেন, ‘গতবারের ঈদের যাতায়াত ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর ছিল। ওই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা সাজিয়েছে। প্রকৌশলীসহ রাস্তাঘাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জেলায় জেলায় প্রশাসকরা বৈঠক করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে কাজ করছে, নির্ধারিত সময়ে সাধারণ মানুষ যেন গন্তব্যে যেতে পারে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আগে রাস্তাঘাটে খানাখন্দ ভরা ও দুরবস্থা ছিল। আগের চেয়ে রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। সরকার অনেক উন্নয়ন কাজ করেছে। এখনও কার্যক্রম চলমান আছে।’

গরুর হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গরুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। হাটে টানা হেঁচড়া, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। কেউ কোনও ট্রাক বা নৌকা তাদের গন্তব্যের আগে থামালে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এই কাজগুলো করবেন না। যদি করেন তাহলে আইন অনুযায়ী যা করা দরকার সেটাই করব। ব্যবসায়ী ও ইজারাদার, গরুর মালিকদের কোনও সমস্যা হলে নিকটস্থ পুলিশের সহায়তা নেবেন। যদি কাছাকাছি কোনও থানা, পুলিশ স্টেশন বা পুলিশ না পান তাহলে ৯৯৯-এ ফোন দিন। আপনারা আমাদের সহয়তা দিন আমরা আপনাদের নিশ্চয়তা দেবো।’

জাল টাকার বিস্তাররোধে এবং অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বন্ধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মার্কেটে জাল টাকা শনাক্তে মেশিন আমাদের কাছে থাকবে। কারও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। জাল টাকার জড়িতদের গ্রেফতারসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। টাকা পরিবহনে সমস্যা হলে সেখানেও পুলিশ সহায়তা করবে।’

এ সময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আইজিপি (হাইওয়ে) শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি (অপারেশন) হায়দার আলী খান, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব রহমান, পুলিশের সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) মঞ্জুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!