জুলাই ২, ২০২১, ০৯:৫৫ এএম
কঠোর লকডাউনে প্রতিটি চেকপোস্টে বেশ কঠোর ছিল পুলিশ। রাজধানী জুড়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ‘অপ্রয়োজনে’ ঘর থেকে বের হওয়ায় গ্রেফতার করা হয় ৫৫০ জনকে। এ ছাড়াও জরিমানা করা হয় ২১২ জনকে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাতে এই তথ্য জানায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে থাকা মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট না হলে আটক করছিল পুলিশ। দুপুর নাগাদ এই সংখ্যাটি আড়াইশ পেরিয়ে গিয়েছিল। রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, ৫৫০ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপি অধ্যাদেশে মামলা করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩৯১ জন। এর বাইরে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে ২১২ জনকে। ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানায়। লকডাউনে জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যান্ত্রিক বাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, সেনা সদস্য ও বিজিবি সদস্যরাও লকডাউন বাস্তবায়নে ঢাকায় সক্রিয় ছিল।
১৮৮০ সালের দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি বেআইনিভাবে বা অবহেলা করে এমন কোন কাজ করেন, যা জীবন বিপন্নকারী মারাত্মক কোন রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা জানা সত্ত্বেও বা বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও তা করেন, তাহলে তাকে ছয়মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড, বা অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
গত সপ্তাহে এই আইনে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছিলো। কিন্তু তারপরও অকারণে রাস্তায় এসেছে মানুষ। লকডাউন কেমন চলছে তা দেখতে আসা এক যুবককে কান ধরে হাঁটানোর শাস্তি দিতেও দেখা গেছে।
কিছুদিন আগেই ঢিলেঢালাভাবে চলেছে লকডাউন। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণে এই ঢিলেঢালা লকডাউনে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে বিগত ৩ সপ্তাহে। আর সে কারণেই কঠোর লকডাউনের ডাক দিয়েছে সরকার।