বেটা
কিশোর-কিশোরীর মধ্যকার প্রেমের কথা আকছার শোনা গেলেও কিশোরী-কিশোরীতে প্রেম গড়ে ওঠা বিরলই। কিন্তু সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে দেশে। সিলেট থেকে গাইবান্ধায় এক কিশোরীর বাড়িতে ওঠেছে সিলেটের আরেক কিশোরী।
গাইবান্ধার কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গাইবান্ধার ওই কিশোরী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা করে। কিছুদিন আগে ঢাকায় খেলতে গিয়ে সিলেটের এক কিশোরী খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা পরস্পরকে বিয়ে করার কথা ভাবে। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে সিলেটের কিশোরী খেলার জন্য গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আসে। খেলা শেষে সে গাইবান্ধার কিশোরীর বাসায় থাকতে শুরু করে।
পরে, মেয়েকে সিলেট ফিরিয়ে নিতে মা গাইবান্ধায় যান। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে মেয়েকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। এই খবর শুনে গাইবান্ধার কিশোরী বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তাতে কাজ না হওয়ায় গাইবান্ধার কিশোরীটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সিলেটের কিশোরী বাঁ হাত ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলে। পরে দুজনকেই অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে দুই কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরের দিন ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেয়েকে সিলেটে নিয়ে যেতে চান তার মা। কিন্তু সিলেটের কিশোরী কোনোভাবেই যেতে রাজি হচ্ছিল না। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে বাসে করে রওনা দেন মা। বাসটি গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছালে কিশোরীর জ্ঞান ফেরে। তখন সে বাসের জানালা দিয়ে ঝাঁপিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে তার হাত কেটে যায়। পরে তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে সে গাইবান্ধার কিশোরীর বাড়িতে চলে যায়।
এরপর ২৭ ডিসেম্বর মা-মেয়ে সিলেটে ফিরে গেছে। আর ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গাইবান্ধার কিশোরীকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
এ বিষয়ে, বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রউফ সংবাদমাধ্যমেকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত পোস্ট দেখেছেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে দুই কিশোরীর পরিবারের কেউই থানায় অভিযোগ করেননি।
গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান জানান, ঘটনাটি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে গাইবান্ধার কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার দিন কিশোরীর বাবা স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলেছিলেন, মেয়েটা এমন পাগলামি করবে, তিনি ভাবতেই পারছেন না।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
