কুরিয়ারের মাধ্যমে যেভাবে স্কুলব্যাগে ইয়াবা পাচার করতেন সাইফুল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৬, ২০২৩, ১২:৪২ পিএম

কুরিয়ারের মাধ্যমে যেভাবে স্কুলব্যাগে ইয়াবা পাচার করতেন সাইফুল

প্রথমে চট্রগ্রাম থেকে ইয়াবার চালান নিজেই বুকিং করেন রাজধানীতে সুন্দরবন কুরিয়ারের র মতিঝিল শাখায়। তারপর ঢাকায় এসে সেই কুরিয়ার নিজেই রিসিভ করার পর তা পাঠাতেন ফরিদপুর সুন্দরবন কুরিয়ার শাখায়। সব জায়গাতেই প্রাপক এবং প্রেরক তিনি নিজেই।

শুধু নাম আর ফোন নম্বর পরিবর্তন করে প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা পাচার করছিলেন ইয়াবা পাচার চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম (৩৯)। তবে আর শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সদস্যদের হাতে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম (৩৯) নামের ওই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

শনিবার (৬ মে) সকাল ৮টার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম হোসেন ইয়াবাসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন ফরিদপুর জেলার কর্মকর্তারা জানান, সুন্দরবন কুরিয়ারের ফরিদপুর শাখার সামনে   কিছুদিন ধরে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন তারা। এরই মধ্যে কর্মকর্তারা তথ্য পান, কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি চালান কুরিয়ারে ঢাকা হয়ে মাদারীপুর যাবে। তখন সন্দেহভাজন ওই লোককে আটক করে তার এরকম ঘুরাঘুরি কারণ জানতে চাইলে সে ঢাকা থেকে কুরিয়ারে মাল আসবে বলে জানায়।

কর্মকর্তাদের আগাম মাদকের খবর আর সাইফুলের কুরিয়ারের খবর অনেকটা সাংঘষিক মনে হলে কর্মকর্তারা তাকে নিয়ে রাজধানীতে রওনা হয়।

রাজধানীতে এসে মতিঝিলের দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টারে সাইফুলের তথ্য নিয়ে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের ফরিদপুর শাখার কর্মকর্তারা। সেসময়  একটি বস্তায়  ৫০টি স্কুলব্যাগ তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ৫০ হাজার ইয়াবা। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চালানো এক অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

 

কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, তল্লাশির সময় সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটি পণ্য চালানের অনুলিপি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জানান, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার ওই কুরিয়ার সার্ভিস সেন্টার থেকে মাদকের একটি চালান তাঁর বুঝে নেওয়ার কথা। পরে তাঁকে সেখানে নিয়ে চালানের অনুলিপির মাধ্যমে পণ্যের একটি বস্তা সংগ্রহ করা হয়। বস্তায় পাওয়া যায় ৫০টি স্কুলব্যাগ। এসব ব্যাগে পলিথিনের বড় প্যাকেটে বিশেষ কৌশলে লুকানো ২৫০টি নীল রঙের জিপার পাওয়া যায়। প্রতিটি জিপার থেকে ২০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

Link copied!