অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৩:২১ পিএম
মহামারী ও যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি আবারও অনুরোধ করছি, কোনো খাদ্যের অপচয় নয়। খাদ্য উৎপাদন বাড়ান। যার যেখানে যতটুকু জমি আছে বাড়ান। সারা বিশ্বে যে দুর্যোগের ঘনঘটার আভাস আমরা পাচ্ছি, তার থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করুন।’
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে নিজের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের খাবার নিজেরা উৎপাদন করার চেষ্টা করবেন, যাতে পরিবেশের উপর চাপ কমে, বাজারের উপর চাপ কমে এবং সকলে মিলে আমরা কাজ করলে অবশ্যই আমাদের বাংলাদেশের কোনো রকম আঘাত আসবে না। আমি বিশ্বাস করি সকলের প্রচেষ্টায় এটা করা সম্ভব।’
উৎপাদন বাড়ালে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে অন্য দেশের ঘাটতিও পূরণ করা যাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বলেন,‘একশ শিল্পাঞ্চল, সেখানে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নেব। আমরা শুধু নিজেরাই গ্রহণ করব না, আমরা প্রক্রিয়াজাত করে এটা (কৃষি পণ্য) রপ্তানি করে অনেক দেশের খাদ্য ঘাটতিতে সহায়তা যাতে করতে পারি, সেটা মাথায় রেখে আমাদের সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার চায় পুষ্টিকর খাদ্য, সুষম খাদ্য, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে যা কেবল দেশে নয়, পুরো বিশ্বের মানুষেরই প্রয়োজন। কাজেই যত উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি, আর যত বেশি খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারি, ততই আমাদের মঙ্গল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি এবং সেটা আমাদের অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রাখতে পারে।’
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষির গুরুত্ব বুঝাতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার মাটির সঙ্গে, আমার মানুষের সঙ্গে আমার কালচারের সঙ্গে, আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে, আমার ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করেই আমার ইকোনমিক সিস্টেম গড়তে হবে। আমিও এটা বিশ্বাস করি যে আমাদের মাটি ও মানুষ… এটাই আমাদের লক্ষ্য।
কৃষিবিদদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের সাথে আমাদের কৃষকরাও, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই যে তারা আজকে আমাদের এই খাদ্যের জোগান দিচ্ছে। কাজেই তাদের সম্মান করা, তাদের সহযোগিতা করা এটা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের দেশ, গ্রাম, মাটি– তাকে ভুলে যাবেন না। সেদিকে একটু নজর দেন। নিজের যদি কোনো পতিত জমি থাকে, তাহলে সেটাও চাষের আওতায় নিয়ে আসেন। তাহলে দেখবেন আমাদের দেশ কখনো পিছিয়ে থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।