সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০২:৫১ পিএম
বাংলাদেশে গুম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘ নিরপেক্ষ তদন্ত চায়। একটি স্বাধীন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গতকাল সোমবার মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের সূচনায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল নাশিফ বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে ওই তথ্য জানান।
তিনি বাংলাদেশে গত মাসে তখনকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের সফরের কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।
নাদা আল নাশিফ জানান, মিশেল ব্যাশেলেত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন, বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং ওই কাজে সাহায্য করার কথাও বলেছেন।
যদিও সরকার দেশে গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল বাচেলেট ঢাকা সফরে আসেন। তিনি বলেন, গুম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত চায় জাতিসংঘ৷
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, “নির্যাতন, বিচারবির্হিভূত হত্যাকাণ্ড, গুম - এমন সব অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের বিরুদ্ধে। আমি সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি৷ স্বাধীন, স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের কথা বলেছি। সেই সঙ্গে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছি।
নাদা আল শরিফ তাঁর বক্তব্যে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মেরুকরণের পরিবেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি একই সঙ্গে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।