জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিদ্যুৎ বিভাগকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিকালে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি এবং তৃতীয় পক্ষের একটি কমিটি বিভ্রাটের কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করবে।
রাতেই পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পিজিসিবির জনসংযোগ ব্যবস্থাপক এ বি এম বদরুদ্দোজা সুমন গণমাধ্যমে বলেন, বিদ্যুতের গ্রিড নানা কারণে বিপর্যয় হতে পারে। এটি এক সেকেন্ডে হলেও তা পুনরায় চালু করার বিষয়টি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই পুনরায় কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকা চার বিভাগের প্রায় ৫০ শতাংশই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আশা করছি রাতের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে। ’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং কুমিল্লার আংশিক এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রাজধানীর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (ডিপিডিসি) এ তথ্য জানায়। তবে এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ঢাকার বিদ্যুৎ সররবাহ। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেলেও লোড অনেকটাই কম।