জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম
গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি কনটেইনার নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটি জাহাজ। মালয়েশিয়ার কেলাং সমুদ্রবন্দরে পৌঁছানোর পর দেখা গেল জাহাজে থাকা ১০৫টি কনটেইনারের মধ্যে একটি খালি নয়। ফিরে এসে এক কিশোরকে নিয়ে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার কেলাং সমুদ্রবন্দরে পৌঁছায় কনটেইনার বহনকারী হংকংভিত্তিক ‘এমবি ইন্টেগ্রা’ জাহাজটি। কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের চিৎকার শুনে কেলাং বন্দরে নোঙর করেই মালয়েশিয়ান পুলিশকে খবর দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরটিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনটেইনার বহনকারী জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটির নেমসন ডিপো থেকে খালি কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের ১০৫টি খালি কনটেইনার বহন করছিল জাহাজটি। যার একটিতে লুকিয়ে ছিল কিশোরটি।
নেমসন কনটেইনার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কাজি মুরাদ হোসেন জানান, ‘বন্দর দিয়ে খালি কনটেইনার জাহাজে উঠানোর আগে তা দরজা খুলে ভালোভাবে যাচাই করা হয়। ডিপো থেকে কনটেইনারের ভেতরে মানুষ উঠার সুযোগ নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষও স্বীকার করছে না কোথা থেকে উঠেছে কিশোরটি।’
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বন্দর কর্তৃপক্ষ এখনো আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্সের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনারে করে একজন কিশোর কেলাং বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু সে ডিপো থেকে নাকি অন্য কোনো পয়েন্ট থেকে খালি কনটেইনারে উঠেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর হতে পারে। তার চিকিৎসা চলছে।’
তবে কোনো যাত্রাপথে জাহাজটি কোনো বিরতি না দেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই যে এ ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাত্র তিন মাস আগে চট্টগ্রাম বন্দরে এই একই ঘটনা ঘটেছিল। গত অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালি কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে পৌঁছায় এক যুবক। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।