বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জনগণও খ্রিস্টীয় পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা বাজতেই রাজধানীসহ গোটা দেশে পটকা ফোটায়ে বা আতশবাজির ফোয়ারা তুলে উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। বাংলার আকাশে অগণিত ফানুস উড়তে থাকে। তবে উড়তে থাকা ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে। এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের প্রায় দুই শতাধিক স্থানে আগুন লাগার সংবাদ আসে। রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও সব স্থানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
শনিবার (০১ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, ঢাকাসহ আশপাশে যেসব আগুন লেগেছিল সবগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে না পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এছাড়া উত্তরা এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও, খিলগাঁও, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, লালবাগ, রায়েরবাগ, কেরানীগঞ্জসহ আরও কিছু স্থানের বিভিন্ন জায়গায় বাসার ছাদ ও বিদ্যুতের তারে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিটি স্থানে ফায়ার সার্ভিসের ২টি করে ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম জানায়, বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগার খবর পেয়েছে তারা। রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মাতুয়াইল স্কুল রোডের একটি বাড়ির ছাদে আগুন লাগে। এছাড়া ধোলাইপাড় বড় মসজিদের পাশে একটি ভবনের ছাদেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে সারাদেশে দুই শতাধিক আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
এসব অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট। তবে কোনো আগুনই ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তারপরও পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে ওই নিষেধাজ্ঞা কাজে আসেনি।