র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নির্বাহী আদেশে প্রত্যাহার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত অষ্টম রাউন্ডের নিরাপত্তা সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুললে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি আন্ডার সেক্রেটারি বনি ডেনিস জেনকিনস এ কথা জানান।
নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন বনি ডেনিস জেনকিনস।
সংলাপ শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা আমাদের কথা বলেছি। তবে তাদের বাধ্যবাধকতা এবং তাদের পদ্ধতি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই আমাদের যেতে হবে। কোনো নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি তুলে নেয়া সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছে।” আইনি বাধ্য বাধকতার কারণেই র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে বলে সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সাত ঘণ্টায় চার সেশনে চলে নিরাপত্তা সংলাপ । আলোচনায় আরও ছিল সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি জিসোমিয়ার পর্যালোচনা।
জিসোমিয়া নিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটন অগ্রসর হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “এক বছরের মধ্যে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার চেষ্টা করবে দুই পক্ষই। গত চার মাসে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করে তার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।”
পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ আইপিএস নিয়ে নিজেদের কর্মপন্থা তুলে ধরেছে ওয়াশিংটন। এ জন্য তারাও একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজছে। এটি এখন বোঝাপড়া পর্যায়ে আছে বলেও জানালেন তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে প্রথম এই নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো। আগে নিরাপত্তা সংলাপগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। অস্টম রাউন্ডের সংলাপে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, দুর্যোগ সচিব ও আইন সচিবসহ শীর্ষ ১৬ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৯ম নিরাপত্তা সংলাপ আগামী ২০২৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।