জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০৮:০৭ পিএম
জাতির পিতা ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন সেভাবেই বাংলাদেশ চলবে। আর দেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয় সে বিষয়েও সকলকে সতর্ক করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে (পাকিস্তানের কারাগার থেকে) এসে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কিভাবে চলবে সেই নীতিনির্ধারণী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ চলবে সেই আদর্শ তিনি ব্যক্ত করেছিলেন। আর সেই আদর্শ নিয়েই আমাদের চলতে হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর দেশের এই অগ্রযাত্রা যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয়।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের উন্নয়নের চাকাটা গতিশীল থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুনী- যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান বাংলার মাটিতে হবেনা। এই কথাটটা তাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন,‘জনগণের অধিকার নিয়ে আমরা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হঠিয়েছে। আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে বলেই আমরা আজ ১৩ বছর পূর্ণ করতে পেরিছি এবং পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলে সেটা সম্ভব ছিলনা। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতাকে শিকার করতে হবে। দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরো বক্তৃতা করেন দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রিয় সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এবং উত্তরের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে ফিরে আসেন। এরআগে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা ইপিআর এর ওয়্যারলেস যোগে সারাদেশে প্রচার করা হয়। এপরই পাকিস্তানী বাহিনী তাঁর বাসভবন ধানমন্ডী ৩২ আক্রমন করে জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এরপর থেকে জাতি দিনটিকে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।