পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে বলে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
যদিও শুক্রবার (৫ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৪ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় শুক্রবার সকাল থেকে পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এদিন সকালে ঢাকায় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
ময়মনসিংহে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে ৩৭, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৩৫, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২৭, সিলেটে ২১, তেঁতুলিয়ায় ২০, নেত্রকোনায় ১৩ এবং বগুড়ায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনার ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছী, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, নোয়াখালীল হাতিয়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও পটুয়াখালীতেও বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।