ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ১১:০৭ পিএম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে গরুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রথম প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের দ্বার উম্মোচন করেছিলেন। সে পথ ধরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ খাতটি ইপ্সিত সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ‘প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মাছ হবে আমার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত।’
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক পরিচালিত ‘জুনোসিস ও আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রকল্প’-এর ইনসেপশন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সেসময় তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানি করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ রয়েছে। গত দুই কোরবানির ঈদে বিদেশী পশু আমদানি করতে হয়নি। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিষ্ময়কর জায়গায় পৌঁছেছে।’
তিনি সকলকে সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য এবং ক্ষমতার কাছে থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
জুনোসিস ও আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্য উৎপাদন ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা এবং জাতির পিতার স্বপ্ন অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য সকল পেশাজীবী, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার-স অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।