অক্টোবর ১১, ২০২২, ০৬:০৯ পিএম
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি আসনের বিপরীতে বাংলাদেশসহ ৬ দেশ মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার পর্ষদের সদস্য পদ পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এই নির্বাচনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ চারটি আসনের বিপরীতে বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী।
এর মধ্যে মালদ্বীপ সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব শেষ করেছেন মালদ্বীপের রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ শহিদ। ফলে তাঁর সঙ্গে ভোটের প্রচারে পেরে ওঠা কঠিন বলে মনে করছে ঢাকা।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মানবাধিকার পরিষদে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে নানা ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার ও মানবাধিকার ইস্যুতে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, খুব সহজেই বাংলাদেশ নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে যাবে, এটা বলা ঠিক হবে না। কেননা, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম শক্ত প্রদিপক্ষ। তবে বাংলাদেশ ভালো প্রচারণা করেছে। আমরা আশাবাদী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মানবাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশ বেশ সোচ্চার। পৃথিবীর বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার অনেক সমুন্নত। আমরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করে থাকি। আমরা বহু বছর ধরে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য। আমার বিশ্বাস, এবারও বাংলাদেশ জয় পাবে। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে প্রস্তুতি বেশ ভালো বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট সদস্যপদ ৪৭। বছরের শেষের দিকে সংগঠনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সর্বোচ্চ ১৮ আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে এ পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশ পরপর দুইবার টানা ৬ বছর সদস্য হয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর সদস্য হিসেবে কাজ করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী ২০২২ সাল ছাড় দিয়ে ২০২৩-২৫ এই ৩ বছরের মেয়াদে সদস্যপদ পেতে চাইছে ঢাকা। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাষ্ট্রকে অবশ্যই জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের উপস্থিত ভোটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে।