মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার, অসম্মানের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২১, ২০২১, ০৭:১৯ পিএম

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার, অসম্মানের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশে’ মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জন্য নির্ধারণ করা ছিল সাধারণ প্লাস্টিকের চেয়ার। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জন্য ছিল সাদা রঙের কাপড়ের কভার লাগানো চেয়ারের ব্যবস্থা। আসন-বৈষম্যের এই চিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড় ও ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘বিজয় পথে পথে’ কর্মসূচিতে সোমবার (২০ ডিসেম্বর)  সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতাদের আলাদা আলাদা আসন বিন্যাস করা হয়।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে এই দাবি জানান।

লিখিত প্রতিবাদলিপিতে তারা বলেন, “সোমবার সিলেট স্টেডিয়ামে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আঞ্চলিক সমাবেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পিছনের সারিতে বসিয়ে অসম্মান করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।” 

তারা বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পিছনে সাধারণ প্লাস্টিক চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সামনের সারিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের জন্য উন্নত চেয়ার রাখা হয়েছে যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। যাদের জন্য এই আয়োজন ছিল তাদের পিছনের সারিতে বসিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অসম্মানিত করা হয়েছে।”

তাদের অভিযোগ, এধরনের অসম্মানজনক ব্যবস্থাপনা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু সিলেট জেলা প্রশাসন দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, “এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সিলেট জেলা প্রশাসক কখনও এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের দায়ভার এড়াতে পারেন না। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালীন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে প্রকাশ্য দিবালোকে অসম্মান করে সিলেট জেলা প্রশাসন প্রমাণ করেছে যে, প্রকৃতপক্ষে তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।”

Link copied!