ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১, ১০:০৩ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক মো. বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। এ ঘটনায় খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মুজাক্কিরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন এ ঘটনায় তারা আগামীকাল কোম্পানীগঞ্জ (২৩ ফেব্রুয়ারি) থানায় গিয়ে মামলা করবেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে নিহত সাংবাদিক মো. বোরহানকে নিয়ে যেনো কোনো রাজনীতি করা না হয়। বোরহান উদ্দিন কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না বলেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল ইসলাম রনি দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মুজাক্কিরের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, নিহতের ঘটনায় আগামীকাল (মঙ্গলবার) থানায় এসে তারা মামলা করবেন। তবে পুলিশও এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এরইমধ্যে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার হার্ডড্রাইভ জব্দ করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কির। পরের দিন (শনিবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে মুজাক্কির ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নোয়াখালি সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছাত্র ছিলেন তিনি।
২৫ বছর বয়সী মুজাক্কির পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। নোয়াখালী মেইল, চ্যানেল ২৩, দেশ কালান্তর, কালজয়ী, অননিউজ২৪ডটকম-সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও চ্যানেলে নোয়াখালী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। সবশেষ তিনি আরএনএনটিভি ও বার্তা বাজারের নেয়াখালী জেলা প্রতনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।