ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ০৩:১৮ পিএম
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে কি কথা হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “ফোন কলটা হয়েছিল। আলোচনার জন্য।” এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমিও এ নিয়ে বলিনি। উনিও বলেননি।”
বুধবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুঠোফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ৩০ মিনিটের আলোচনায় আগামী বছর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তারা কথা বলেন। এ সময় র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি তোলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ফোনে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও ওয়েব সাইটে প্রকাশিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাবেক প্রধান ও পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক বেনজির আহমদ, র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খান মোহাম্মদ আজাদ, মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান এবং তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ারের নাম রয়েছে।