১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ৯ আসামির মধ্যে ৩ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া,
অন্য ৫ আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড ও আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতিরা বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর মো. মোখলেসুর রহমান জানান, এই মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৫ আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ৪ আসামি পলাতক রয়েছে।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এ এফ এম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল। এদের মধ্যে আবুল কালাম ছাড়া অন্য দুই জন পলাতক রয়েছেন।
আর ২০ বছর করে সাজা পেয়েছেন খলিলুর রহমান মীর, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান।
মামলার অপর আসামি আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মত অপরাধে যুক্ত হন বলে এ মামলায় অভিযোগ আনা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি ঘটনায় অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের মার্চে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল আদালত।