রেকর্ড গড়ার পর আবারও বিদ্যুতের উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০১:৪৮ এএম

রেকর্ড গড়ার পর আবারও বিদ্যুতের উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে

দেশে শনিবার দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার ১৫ হাজার মেগাওয়াটের নিচে নেমে এসেছে। ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের রেকর্ড করার পর আবারও তা নিচে নেমে আসে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, রামপাল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তবে প্ল্যান্টটির মালিক ও পরিচালনাকারী বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির কারণে দেশকে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং ভোগ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) অফিসিয়াল রেকর্ড দেখায়, শনিবার রাতে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার ৯৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এরইমধ্যে বিপিডিবি রবিবারের জন্য একটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, যাতে ইঙ্গিত করেছে যে এদিন দেশের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট হবে এবং সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৫ হাজার মেগাওয়াট হবে এবং প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হতে পারে।

বিপিডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদা অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে সরকার গত সপ্তাহে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। বিপিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, চাহিদা বৃদ্ধির কারণে গত সপ্তাহ থেকে আমরা কিছু ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছি।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, বর্তমানে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের জুলাই মাসে সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করে।

সূত্র: ইউএনবি

Link copied!