মার্চ ২২, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদে নেওয়া বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ছাড়া আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকতে হবে।’
বুধবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সাথে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দ্রুত সমাধানে জোরালো ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন।
বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি চাহিদাগুলো- খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিনিময়ে বিশেষ দূত রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২২ থেকে ২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।