বেটা
রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জেরে সব আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা লাশ হতে রাজি আছেন, তবুও হল-ক্যাম্পাস ছাড়বেন না।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা কলেজের শহীদ আ ন ম নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে সম্মিলিতভাবে ছাত্রনেতারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন। এর আগে, আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুয়াদ হাসান গণমাধ্যমে বলেন, “প্রয়োজনে আমরা লাশ হয়ে বের হবো। তবু হল-ক্যাম্পাস ছাড়ব না।”
হামলার বিচার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে সুন্দর সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছি। তিনি যদি না পারেন তাহলে তার পদত্যাগ দাবি করছি।”
গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী কাপড় কিনতে গেলে দোকানদারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ব্যবসায়ীরা। পরে ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় এসে ভাঙচুর চালায়।
শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের ফলে সড়ক বন্ধ থাকায় ওই এলাকার রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আবারও চলে এ সংঘর্ষ।
দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করলে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের বিকালের মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে।এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, “হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজনে মার্কেট বন্ধ হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নয়।”
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
