জুলাই ১৪, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম
নারী-পুরুষের লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এবারও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এনিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এই অবস্থান ধরে রেখেছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) গ্ল্যোবাল জেন্ডার গ্যাপ-২০২২ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছয় ধাপ নেমে ৭১তম অবস্থানে রয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনের ১৬তম সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের সামগ্রিক লিঙ্গ ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। ফলে বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটে।
লিঙ্গ সমতার দিক দিয়ে ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকে এগিয়ে থাকতে আছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নেপাল এই অঞ্চলে দ্বিতীয় সেরা এবং বিশ্বব্যাপী দেশটির অবস্থান ৯৬তম।
স্কোর পয়েন্ট ৬৭ শতাংশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা এই অঞ্চলে তৃতীয় এবং সামগ্রিকভাবে ১১০তম স্থানে রয়েছে। শ্রীলংকার পরেই মালদ্বীপ রয়েছে ১১৭তম স্থানে এবং ভুটান ১২৬তম। সূচক অনুযায়ি প্রতিবেশি দেশ ভারতের অবস্থান ১৩৫তম। সূচকের দিক দিয়ে এই দেশটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে নিচের দিকে দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বে এবং দক্ষিণ এশিয়াতে লিঙ্গ সমতায় সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর পয়েন্ট ৪৩ শতাংশ ৫ শতাংশ। পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী ১৪৫তম অবস্থানে রয়েছে এবং খারাপের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো দেশ সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি, তবুও শীর্ষ ১০টি দেশ লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ স্কোর করেছে।
এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে লিঙ্গ সমতার দেশ আইসল্যান্ড। এনিয়ে ১৩তম বার শীর্ষে থাকল দেশটি। ইউরোপের এই দেশটি একমাত্র লিঙ্গ ব্যবধান কমানোয় ৯০ শতাংশের বেশি স্কোর করেছে। আইসল্যান্ডের পরেই রয়েছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন।
ডব্লিউইএফ মূলত চারটি মাপকাঠি-অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষায় সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর লিঙ্গ-ভিত্তিক ব্যবধান পরিমাপের মাধ্যমে সূচক তৈরি করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হঢ, প্রাপ্ত স্কোরে বিশ্বে শিক্ষায় সুযোগে ১২৩তম, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে ১২৯তম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ডব্লিউইএফ গ্ল্যোবাল জেন্ডার গ্যাপ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,পুরুষ ও নারী উভয়েরই কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ এবং ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আনুপাতিক প্রভাব নারীদের ওপর বেশি পড়েছে।