`ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সরকারি মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ অনলাইনে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এ জন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ডিজিটাল ইকোনোমি গড়েতে চাই।
শনিবার (১০ এপ্রিল) ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যত গন্তব্য’ নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন। আইটি ও আইটিইএস খাতে ১৫ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে । চলতি বছরেই বাংলাদেশ ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করে স্থানীয় চাহিদা মেটিয়ে ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে এই খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই আয় ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, হোম গ্রোন ইনোভেশন এন্ড সল্যুশন দিয়েই একটি প্রবলেম সলভিং জাতি হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তোলতে হবে। ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন সাংস্কৃতিক মুক্তি ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়।
সেসময় তিনি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ করার পরামর্শ দেন।
পলক বলেন, দেশে একটি ইনোভেশন ইকো সিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে অ্যাক্টিভ লার্নিং ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সমস্যা সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।