সরকারের সমন্বয়হীনতায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছে না: জি এম কাদের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম

সরকারের সমন্বয়হীনতায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছে না: জি এম কাদের

সরকারের সমন্বয়হীনতায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছে না বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সোমবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এই দাবি করেন। এ সময় তিনি আরও জানান, অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শ্রমিকদের প্রতি যে উদাসীনতা দেখানো হয়েছে তা সভ্য সমাজে মেনে নেয়া যায় না।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দাবি করেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে যেখানে প্রয়োজন পরিকল্পিত লকডাউন ও ব্যাপকহারে গণটিকা কর্মসূচী, সেখানে দেখা যাচ্ছে সকল ক্ষেত্রে চরম সমন্বয়হীনতা। সে কারণে, কমছে না করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা।

‘শ্রমিকদের সরকার মানুষ মনে করছে না’- এমন দাবি করে কাদের বলেন, যে সব শ্রমিক দেশের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনীতির চাকা সচল রাখে তাদের সাথে অশোভন ও নির্মম আচরণ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, কোরবানির ঈদের আগে গণপরিবহন চলেছে মাত্র দুই দিন। আবার ঈদের একদিন পরেই কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। স্বল্পসময়ে গণপরিবহনে গাদাগাদি করে ঈদযাত্রায় চলাচল করেছে লাখো মানুষ।

তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গেলো ৩০ জুলাই হঠাৎ ঘোষণা ১ অক্টোবর থেকে তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। এমন ঘোষণায় স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তারা পায়ে হেটে, রিক্সা বা ভ্যানে অথবা ট্রাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর পথে ছোটেন। শুধু কষ্ট নয়, কয়েকগুণ বেশি খরচ করতে হয়েছে চাকরি রক্ষার্থে। মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, বিপর্যয় এড়াতে সরকারিভাবে ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট সীমিত পরিসরে গণ পরিবহন চালু করে সরকার। গেলো বছর এপ্রিল মাসেও লকডাউনের মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা খুলে এমন নির্মম পরিহাস করা হয়েছিল শ্রমিকদের সাথে। তখনও শ্রমিকরা পায়ে হেটে, অসহনীয় দুর্ভোগ পোহায়ে রাজধানীতে এসেছিলো। গেলো বছরের লকডাউন থেকে শিক্ষা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ।

Link copied!