ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৫:২৬ এএম
আলোচিত ইউটিউবার ও সদ্য শেষ হওয়া বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র পার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকে ভূলুণ্ঠিত করাই নয়, বরং তার (হিরো আলম) সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তর বলেও মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো টিআইবি’র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বগুড়ার উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে দেখেছি, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন— ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।’
অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন— ‘এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার সঙ্গে জিততে হয়।’ দুই নেতাই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আশরাফুল হোসেন আলমের ব্যক্তি পরিচয় ও অবস্থানকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করেছে দুই দল। কিন্তু সেই মানদণ্ড ইতিবাচক কিছু নয়, বরং এর মাধ্যমে আলম ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থূলতাকেই সামনে এনেছে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত তথ্য উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তার বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন। সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকেই ভূলুণ্ঠিত করে না, বরং তার সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে।”
টিআইবি’র এই নির্বাহী পারিচালক আরও বলেন, “হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো’— এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারন্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে-মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।