সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। ছয় মাস ধরে কথা বলতে বলতে প্রেম। সেই প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান তরুণী এসেছিলেন টাঙ্গাইলে। বিয়ে করেন বাংলাদেশি তরুণকে। তাদের সংসারের সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। এরপর নিজ দেশে ফিরে যায় ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়।
স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকে মনিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখিপুরে চলে আসে। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। হঠাৎ মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ওই তরুণী তার দেশে ফিরে যান।
১৫ দিনে মনিরুলের পরিবার ওই তরুণীর পেছনে ৮০ হাজারের বেশি টাকা খরচ করে। সেই দেনা এখন টানছেন এবং এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ঈমান আলী।
তিনি বলেন, “মেয়েটি হয়তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে ওই মেয়ে চলে গেছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়াশোনা করতো। এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও সেই ঋণের বোঝা টানছি।”
মনিরুল ইসলাম বলেন, “ফেসবুকে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাসের সম্পর্কের পর জুলিজা আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম।”