‘মুক্তিপণে’ ফিরলেন অপহরণের শিকার ৭ জন,পুলিশের দাবি উদ্ধার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৮, ২০২৩, ১১:০৩ এএম

‘মুক্তিপণে’ ফিরলেন অপহরণের শিকার ৭ জন,পুলিশের দাবি উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে বাহারছড়ায় অপহরণ হওয়া কলেজছাত্রসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের দাবি, জেলা গোয়েন্দাসহ থানা পুলিশের একটি দলের সাঁড়াশি অভিযানে কলেজছাত্রসহ অপহৃত ওই ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি,সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ছাড়া পান। 

অপহরণের শিকার ৭জনকে উদ্ধারের বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।   

উদ্ধার হওয়া ৭ অপহৃতরা হলেন-কলেজশিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন (১৭), রশিদ আলম (২৬), জানে আলম (৪৫), জাফর আলম (৪০), জাফরুল ইসলাম (৩০), ফজল করিম (৩০) ও আরিফ উল্লাহ (৩০) । এদের সবাই বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব মাঠ পাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ‘জেলা গোয়েন্দাসহ থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে কলেজছাত্রসহ অপহৃত ৭ ব্যক্তিকে জাহাজপুরার গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”

মুক্তিপণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জেলা পুলিশ সুপার  অপহরণ হওয়াদের ফেরার বিষয়টি দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।”

টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিক মুক্তিপণের বিষয়টি শুনেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের চেষ্টায় সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়টি আমিও শুনেছি। তবে এটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।’”

তবে অপহরণ হওয়ার পর ফিরে আসা জাফর আলমের ছেলে কলিম উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার বাবাকে উদ্ধার করা হয়েছে। চৌকিদার ইসহাকের মাধ্যমে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। বাবাকে অনেক মারধর করেছে। উদ্ধার হওয়ার পর বাবাকে পুলিশ নিয়ে গেছে।”

অপহরণ হওয়ার পর ফিরে এসেছেন ফজল করিম নামে এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী জানান,  “আমার স্বামীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।এজন্য ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।” 

 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে ৯ জনকে অপহরণ করা হয়। এরপর মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২) নামের ২ জনকে ছেড়ে দিলেও জিম্মি রাখা হয়েছিল ৭ জনকে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা পাহাড়ে অভিযানে যায়। কিন্তু অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে শুক্রবার গহীন বন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

Link copied!