বিশ্ব বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার অন্তত আরো দুই মাসের মধ্যে কমাবে না- এমন ইঙ্গিত পাওয়ায় তেলের দাম কমেছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৩৫ ডলার বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৮২ দশমিক ৩২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমকি ৩৫ ডলার বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৭৭ দশমিক ২৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, নীতি নির্ধারকরা সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে অন্তত আরও দুইমাস সময় নিতে পারেন। তাদের এই সিদ্ধান্তে প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার পাশাপাশি তেলের চাহিদা কমতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে রাশিয়ার ৫০০ এর অধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে ডেপুটি মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি অ্যাডেইমো এই তথ্য জানান।
অন্যদিকে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলে দেড় বছর আগে বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। তখন বলা হয়েছিল, বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশেও কমবে। তবে সেটি আর হয়নি।
দেশে জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহের একমাত্র সংস্থা হলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েল ও উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের মতো তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে তারা। এই দুই ধরনের তেল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে বিপিসি। তবে পরিবহনে ব্যবহৃত ডিজেল, পেট্রল, অকটেনের দাম নির্বাহী আদেশে নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে পেট্রল ও অকটেনে সব সময়ই মুনাফা করে বিপিসি। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। কয়েক মাস ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে তারা।