বাড়লো চালের দাম, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না কিছুই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১৫, ২০২৪, ১১:০১ এএম

বাড়লো চালের দাম, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না কিছুই

সংগৃহীত ছবি

কয়েক বছর ধরে রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। রোজার মাসে আরেক দফা বাড়লো চালের দাম। যদিও বাজারে আমন ধানের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তারপরও বিআর-২৮, পাইজাম, গুটি ও মিনিকেট চালের দাম গত তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে জিনিস মিলছে না বাজারে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গত ১১ মার্চের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সাধারণ মানের খেজুরের কেজি ১৫০-১৬৫ টাকা এবং জাইদি খেজুরের কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রির কথা থাকলেও বাজারে মিলছে না সেই দামে।

ক্রেতারা বলেছেন, শুধু দাম বেঁধে দিলেই চলবে না। করতে হবে নিয়মিত বাজার মনিটরিংও।

এদিকে, গত মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু সেই দামের তেল আসছে না বাজারে। মিলে তদারকি আর লোক দেখানো অভিযানে কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল ১ টাকাও দাম বাড়বে না চিনির কেজিতে। কিন্তু বাস্তবে তারও অস্তিত্ত্ব নেই।

ক্রেতারা বলেন, কোনো নির্দেশনা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। যে যার মতো পারছে দাম বাড়াচ্ছে। লাগামহীনভাবে চলছে বাজার।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে এককেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৪ টাকা। কিন্তু ২০২৪ সালের শুরুতে দাম ঠেকে ১৩০ টাকায়।

এ পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের প্রশ্ন, দাম নির্ধারণ করে, তা কার্যকরে বারবার কেন ব্যর্থ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়?

অন্যদিকে,  সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা ধরে মোটা চাল, খোলা আটা, সয়াবিন তেল (বোতল), চিনি, মসুর ডাল (বড় দানা), অ্যাংকর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, দেশি রসুন, দেশি শুকনা মরিচ, রুই মাছ, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংস, ডিম (হালি) ও খেজুর—এই ১৫ পণ্যের মূল্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত রোজার তুলনায় এবার ১০টি পণ্যের দাম বেশি; ৫টির কম। 

Link copied!