দুই বছর পর আবারও জমে উঠেছে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র ও রেস্তোরাঁগুলো। ক্রেতা-দর্শনাথীদের জন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঈদের আগে পেরিয়েছে শেষ কর্মদিবস। পরের সপ্তাহে ঈদের ছুটির পর কর্মদিবস থাকবে দুই দিন ৪ ও ৫ মে। ৬ মে শুক্রবার। ছুটির এই কটা দিন ঘিরেই চলছে নানা আয়োজন।
চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ২ মে ঈদুল ফিতর হতে পারে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের সময় রাজধানীবাসীর একটা বড় অংশ যায় ঢাকার বাইরে নিজ গ্রামে।
ঢাকায় যারা ঈদ কাটান তাদের অনেকেই বিনোদন কেন্দ্র অথবা রেস্তোরাঁয় যান পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুদের নিয়ে। উদযাপনে বাড়তি মাত্রা দিতে ফাঁকা ঢাকায় ঘুরে বেড়ান অনেকে।
আগের দুই বছর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল তালা, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতেও ছিল বিধিনিষেধের কড়াকড়ি। ঈদসহ যে কোনো সরকারি ছুটির দিনে অনেকেই যান মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায়। মহামারীর খাঁড়া কাটিয়ে এ বছর ঈদের ছুটিতে ভিড় হতে পারে বলে মনে করছেন এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, “ঈদে এবার অনেক দর্শনার্থী হবে। আমাদের রুটিন কিছু প্রস্তুতি আছে। সেগুলোর দিকে যথাযথ নজর দিচ্ছি। যেসব প্রাণি এখানকার বাসিন্দা, দর্শনার্থীদের কারণে তাদের ওপর যাতে চাপ না পড়ে সেজন্য খাদ্য ও সাপ্লিমেন্ট সরবরাহের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি।”
এছাড়া পরিচ্ছন্নতা এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। হকার দূর করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঈদের ছুটিতে রমনা পার্কের সময়সূচির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানান সেখানকার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা গণপূর্ত সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামসুল ইসলাম।
বলেন, “আগের যে শিডিউল আছে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা আর বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা সে হিসেবেই পার্ক খোলা থাকবে। “পার্ক নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে। ঈদের সময় একইভাবে থাকবে। যারা আসবেন ওই সময়ে আসবেন। পার্কে মুক্ত বাতাসে সময় কাটাবেন।” ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন ঢাকার বাইরে একটু সময় কাটিয়ে আসতে। রাজধানীর কাছাকাছি বিনোদন পার্কেও যান অনেকে।
আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মনজুর আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি এবার সর্বোচ্চ। দর্শনার্থীদের সব রকমের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।