বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার (২২জুন) থেকে খুচরা বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। ফলে আপাতত ঈদের আগে চিনির দাম গ্রাহক পর্যায়ে আর বাড়ছে না।
এমনিতেই খুচরা পর্যায়ে বাড়তি দামে কয়েক মাস ধরেই চিনি বিক্রি হয়ে আসছে বাজারে। এরপরও সোমবার (১৯ জুন) হঠাৎ করেই সুগার রিফাইনার্সরা বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে চিঠি দেয় আবারও কেজিপ্রতি ২৫ টাকা বাড়ানোর দাবী নিয়ে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২০ জুন)
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দকে ডেকে বৈঠক করে।
বৈঠকপ বিটিটিসি তাদেরকে জানায় যে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শুল্কছাড়ে আনা চিনি এখনো বাজারে আছে। এ তথ্য প্রমাণসহ সুগার রিফাইনার্স মিল মালিকদের কাছে তুলে ধরে বিটিটিসি। এরপরই তারা ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ানোর দাবী থেকে সরে আসে। তবে, ঈদের পর বৈঠকে চিনির দাম আ্যাডজাস্ট করার আশ্বাস নিয়েছে তারা বিটিটিসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে।
বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী, ভোজ্যতেল ও চিনির বাজারদর নির্ধারনের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো লিখিত প্রস্তাব দিলে তাদের সঙ্গে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম বাড়ানো বা কমানোর বিজ্ঞপ্তি আসে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে। এর আগে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর বিটিটিসি পুরো বাজারব্যবস্থা পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেয়।
গত ১১ জুন বিটিটিসি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২০২২ সালের ৮ জুন আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ছিল ৫৫১ দশমিক ৯৫ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের ৮ জুন তা বেড়ে হয় ৬৭৩ দশমিক ১৫ ডলার। বিটিটিসি প্রতিবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে জানায় আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের তুলনায় ব্যয় ও মূনাফা হিসেব করে অত্যধিক দামে চিনি বিক্রি করছে স্হানীয় সুগার রিফাইনার্স মিলমালিক ও আমদানিকারকরা।