জুন ১২, ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ও কর ফাঁকি দেওয়া কাউকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত হবে না। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, "রাজনীতিতে অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন। তা না হলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সম্ভব নয়।"
তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের ৫ বা ১০ শতাংশ জমা দিয়ে খেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ কোনোভাবেই থাকা উচিত নয়।
সোমবার (১২ জুন) বিআইডিএস আয়োজিত "জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ এর চারটি বড় চ্যালেঞ্জ" শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিনায়ক সেন।
এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ।
তিনি আগামী অর্থবছরের চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন। এ চার চ্যালেন্জ হলো, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, রাজস্ব আহরন, বাজেট ভর্তুকি বিচক্ষণভাবে অর্থায়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যয় বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির এ দায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর চাপিয়ে দেয়া বাস্তবসম্মত নয়।
সাদিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ আছে তবে দেশের বাজারে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে এ মূল্যস্ফীতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।