জুন ৩, ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প সম্পর্কে পরিস্কার কোনও ধারনা দেয়া হয়নি বলে দাবী করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন সভাপতি ফারুক হাসান।
শুক্রবার (২ জুন) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতির ফারুক হাসান রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "প্রস্তাবিত বাজেট আমাদের কাছে পরিস্কার না।"
তিনি বলেন, পোশাক শিল্প মালিকরা যা চায় সেসব ব্যাপারে কোনও কিছুই বলা হয়নি বাজেটে।
ফারুক হাসান জানান, বিজিএমইএ কর্তৃক পেশকৃত দাবীসমুহের মধ্যে রয়েছে উৎসে কর শুন্য দশমিক ৫০ করা, নগদ সহায়তার উপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার, আমদানী ও রপ্তানীতে ব্যবহৃত করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা, কৃত্রিম আঁশের তৈরী কাটা ফেব্রিক্স ও নষ্ট টুকরায় (এক মিটারের বেশী নয়) ধার্যকৃত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি, নন-কটন পোশাকের রপ্তানীতে ১০ শতাংশ প্রনোদনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী যন্ত্রপাতি আমদানীতে ১ শতাংশ হারে শুল্করেয়াতের আবেদন।
তিনি জানান, শিল্প মািলকরা নবায়নযোগ্য জ্বালানী স্হাপনে বিনিয়োগ করতে চায়। এক্ষেত্রে সুবিধা দিলে বিদ্যুতের উপর চাপ কমবে।
তিনি বলেন, ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সময়মতো শিপমেন্ট করতে পারছে না পোশাক শিল্প মালিকরা।
ফারুক হাসান বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সময়মতো রপ্তানী করতে না পারায় অনেকের নতুন অর্ডার আসছে না।
তিনি বলেন, অনেক কারখানা `আন্ডার ক্যাপাসিটি` তে চলছে। এর প্রভাব পড়বে পোশাক শিল্পের কর্মসংস্হানে। এছাড়া আগামী মাস থেকে সুদহারে ক্যাপ তুলে দিলে ব্যয় বাড়বে ও পোশাকশিল্প বৈশ্বিক বাজারে সক্ষমতা হারাবে।
ফারুক হাসান বলেন, এইচএস কোড বিষয়ক জটিলতার নিরসন হয়নি, হয়রানিও বন্ধ হয়নি। আমরা সমাধান পাইনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে পোশাক শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন।