কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে (হজ-ওমরা, চিকিৎসা ইত্যাদি) নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ যেতে বাধা নেই। সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এই সময়ে ব্যাংককর্মীদের প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়ার পথ খুলল।
রবিবারের নির্দেশনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের জন্য এক নিয়ম এবং অন্যান্য ব্যাংকের কর্মীদের জন্য আলাদা নিয়ম নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ তৈরি হয়।
সেই প্রেক্ষাপটে সোমবার অন্য সব ব্যাংকের কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা এল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
এতে বলা হয়েছে, “ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণ করে ২২ মে লেটার ইস্যু করা হয়| বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণে কতিপয় ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপকালে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণের উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ অত্যাবশ্যক হয় বিধায় নিজস্ব অর্থায়নে এরূপ ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে|
“১৪৪৩ হিজরী/২০২২ সালের পবিত্র হজ পালন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা সাপেক্ষে জরুরি চিকিৎসা, ব্যাংকে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের নিজ দেশে গমন ও বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ শাখায় কর্মরত-কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে গমন এবং বিদেশী আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ/সভা/সেমিনার/ওয়ার্কশপ/স্টাডি ট্যুর এ অংশগ্রহণ এসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।”
এর আগে মহামারীর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি করেছে, তার প্রেক্ষাপটে সরকার ডলারের মজুদ রাখতে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে লাগাম টানে।
তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণ পুরোপুরিই বন্ধ করে রবিবার সার্কুলার দিয়েছিল।
তাতে বলা হয়েছিল- “পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণসহ প্রশিক্ষণ/সভা/সেমিনার/ওয়ার্কশপ/স্টাডি ট্যুর এ অংশগ্রহণের জন্য বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।”