চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তাঞ্জানিয়ার জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আব্দুলরাজ্জাক গুরনাহ।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(৭অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেসের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
ঔপনিবেশিকতার প্রভাব ও উপসাগরীয় অঞ্চলে শরণার্থীদের ভাগ্য সাহিত্যে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার স্বীকৃতিসরূপ তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলে জানায় রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি অব সাইন্সেস।
১৯৪৮ সালে তাঞ্জানিয়ার জানজিবারে জন্ম গুরনাহর। তিনি ১৯৬৮ সালে ২০ বছর বয়সে শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন। পরে সেখানে লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দুই বছর তিনি নাইজেরিয়ার কানোরের বায়েরো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি য়ুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন এবং ১৯৮২ সালে ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও ঔপনিবেশিক পরবর্তী সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন গুরনাহ।
ইংরেজি ভাষায় রচিত আব্দুলরাজ্জাক গুরনাহর ১০টি উপন্যাসের প্রায় সবগুলোতে শরণার্থীদের জীবন ও অভিজ্ঞতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসের নাম ‘প্যারাডাইজ’। প্রচুর পাঠকপ্রিয় এই উপন্যাসটি ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘ডিসারশন’ (২০০৫) ও ‘বাই দ্য সি’ (২০০১) উল্লেখযোগ্য।
২০২০ সালে সরল ও সৌন্দর্য্য সুস্পষ্ট কাব্যিক কণ্ঠস্বরের জন্য সাহিত্যে ওপর নোবেল পান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কবি লুইস গ্লুক। তার কাব্যিক ঢং স্বতন্ত্র অস্তিত্বকে সার্বজনীন করে তোলে।
২০১৮ সালে সাহিত্যের নোবেল পুরস্কার জয়ী বাছাই কমিটি সুইডিশ একাডেমিতে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় সাহিত্যের নোবেল স্থগিত রাখা হয়। যৌন নিপীড়নের ঘটনা ফাঁসে পর কমিটি থেকে বেশ কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেন।
গত ৫ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ইতালিয়ান পদার্থবিদ জর্জিও পারিসি, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান ও জাপানি আবহাওয়াবিদ স্যুকুরো মানাবেকে যৌথভাবে নোবের পুরষ্কার দেওয়া হয়।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) রসায়নে বিশেষ অবদানে দুই বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তারা হলেন জার্মান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান।