ইবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আবারও মারধরের অভিযোগ!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৬, ২০২৩, ০১:০৫ এএম

ইবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আবারও মারধরের অভিযোগ!

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের একটি খাবার হোটেলে ভাঙচুর ও এর মালিককে মারধর করে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইবি ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান। 

এ লিখিত অভিযোগে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ আরও কয়েকটি দপ্তরে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে ছাত্রলীগের কর্মী তুষার, বিশাল, পিয়াসসহ ছাত্রলীগের কয়েকজনের কর্মীর কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনিসহ অন্যরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী ওরফে আরাফাতের অনুসারী বলে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আশরাফুল ইসলাম ওরফে পিন্টুর মালিকানাধীন পিন্টু হোটেলে ভাত খেতে যান তুষার ও তাঁর লোকজন। এ সময় ভাত শেষ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সামনেই আশরাফুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর এবং হোটেলের চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে হোটেলটিতে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

আশরাফুল ইসলাম ওরফে পিন্টু বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে বড় চামচ দিয়ে আমাদের পিটিয়ে হোটেলে ভাঙচুর করেছে। একপর্যায়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালে হোটেল খুলতে চাইলে তুষারসহ তাঁর দলবল এসে দোকান বন্ধ করে দিতে বলেন। হোটেলের কর্মচারীরা ভয়ে দোকান বন্ধ করে দেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী বলেন, উভয় পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জানান, ‘ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ভাঙচুর ও মালিককে মারধরের পর খাবার হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। এটা অন্যায়। এরপরও আজ সকালে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এরপর দুপুরে আবারও হুমকি দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। তাঁরা আশ্বাস দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন নূন যায়েদ জানান, বিষয়টা মীমাংসা হয়ে গেছে।

Link copied!