জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ বলা হয় এ২৩ এ-কে। ১৯৮৬ সালে এই আইসবার্গ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উপকূল থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু তারপর দীর্ঘ সময় এই আইসবার্গ বলা চলে একপ্রকার স্থিরই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটি চলতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মূলত এই আইসবার্গে ক্ষয় শুরু হওয়ার কারণেই এই চলাচল শুরু হয়েছে এবং এটি বজায় থাকতে পারে নিঃশেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ২৩এ নামে ওই আইসবার্গের আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির আয়তনের তিনগুণ। সম্প্রতি এই আইসবার্গ বন্ধনমুক্ত হয়ে বিচরণ করতে শুরু করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মূলত উষ্ণ বায়ু ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণ পানির প্রবাহের কারণে এই আইসবার্গ অ্যান্টার্কটিকা থেকে যত দূরে সরছে ততই এটি দ্রুত গলে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, চূড়ান্ত বিচারে আসলে গলে গিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাওয়াটাই এর নিয়তি।
আইসবার্গের সরে যাওয়ার খবরটি পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তারা বলছেন, আইসবার্গগুলো মহাসাগরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সামুদ্রিক জীবনের আবাসস্থল এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়োজ এক্সপিডিশন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি জাহাজ গত রোববার এ২৩ এ-এর কাছে পৌঁছেছিল। জাহাজটির গবেষকেরা আইসবার্গের দেওয়ালে বিভিন্ন গুহা ও খিলানের মতো আকৃতি দেখতে পেয়েছেন। অথচ বেশ কয়েক মাস আগেও এই জায়গাগুলো ভরাট ছিল বলে জানা গেছে।
গুহা ও খিলান আকৃতির বরফের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এগুলো খুব শিগগিরই ধসে পড়বে। কারণ পানির নিচে আইসবার্গে যে অংশ এই কাঠামোগুলো টিকিয়ে রেখেছে তা শিগগিরই নিঃশেষ হয়ে যাবে।