ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে যাতে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু দূষণের নগরীতে থাকায় আমাদের মধ্যে ফুসফুসের নানা রোগের প্রবণতা বেশি। বিশেষ করে যদি কোনও অধূমপায়ী তার ধূমপায়ী বন্ধুর সংস্পর্শে যান তবে ধূমপানের পরোক্ষ প্রভাব তার ওপরেও পড়ে। অর্থাৎ তার ফুসফুস আক্রান্তেরও সমূহসম্ভাবনা আছে।
যে পাঁচটি খাবার খেলে ফুসফুসের রোগ থেকে আপনি বেঁচে যাবেন সেগুলো নিয়েই আজকের আয়োজন। চলুন জেনে আসা যাক-
হলুদ
হলুদে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যে কারণে নিয়মিত হলুদ খেলে তা ফুসফুসের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ফুসফুসকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে। রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি হলুদ চা কিংবা হলুদ মেশানো দুধও খেতে পারেন।
কুমড়া বীজ
কুমড়ার বীজে থাকে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, জিক্সানথিন। এগুলো ফুসফুসের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে ও হাঁপানিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার খাবারের তালিকায় এখনই যুক্ত করুন কুমড়ার বীজ।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে তা ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে হাঁপানি বা ফুসফুসের অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও দূর করে।
গ্রিন টি
ফুসফুস ভালো রাখার জন্য অব্যর্থ মহৌষধ হলো গ্রিন টি। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ফুসফুসে প্রদাহ কমায়। গ্রিন টিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
বিটরুট
বিটরুট আমাদের ফুসফুসকে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। এতে নাইট্রেট নামক একটি বিশেষ উপাদান থাকে, যা আমাদের রক্তনালীকে সুস্থ রাখে ও সেই সঙ্গে ফুসফুসকেও শক্তিশালী করে। বিটরুট খেলে সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। উচ্চরক্তচাপের সমস্যাও উপশম করে বিটরুট।