অধিকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ বলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া স্বীকৃতি বাতিল করতে পারেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (২৬ জুন) নাম প্রকাশ না করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা আমেরিকার নিউজ ওয়েবসাইট ‘ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন’-কে এ কথা বলেছেন।
তিনি তার ভাষায় বলেন, “গোলান মালভূমি কারো নয়, এই ভূখণ্ডের মালিকানা ইসরায়েলের হাতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন প্রথমবার বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোলান ইস্যুতে কথা তুলেছিলেন। তবে তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রশ্নে গোলাম মালভূমি সত্যিকার অর্থেই গুরুত্ব বহন করে, তবে এর স্বাভাবিক মর্যাদা কি হবে তা তিনি সে সময় কিছু বলেননি।’
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমির একটি অংশ দখল নেয়। সেসময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদস শহর এবং গাজা উপত্যকায় দখল করে নেয়।
১৯৮১ সালে তেল আবিব গোলান মালভূমিকে একতরফাভাবে নিজের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও তা মেনে নেয়নি। সিরিয়া বারবার বলে আসছে, গোলান মালভূমির মালিকানা তাদের এবং তারা তা ফিরিয়ে নেবে।
এরমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের স্বার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেন। বাইডেন প্রশাসন এখন গোলানের ওই স্বীকৃতি বাতিল করতে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে নিরাপত্তা অচলাবস্থার মধ্যে ফেলে দেবে।