আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। এর ব্যাকগ্রাউন্ডে (পেছনে) কী আছে, কীভাবে আছে- দেশবাসী সেটা বোঝেন- তারা বুঝে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৫ জুলাই) গ্রামীণ টেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার শুরুর তারিখ ধার্যের পর ঢাকার একটি আদালত থেকে বের হন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের আলাপকালে ড. ইউনূস মন্তব্য করেন, “আজকে মনটা খারাপ, বেশি কথা বলবো না। বিষয়টা নিয়ে আমাদের আইনজীবী বলবেন।”
মন খারাপের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “তারিখ নিয়ে যে রকম ধস্তাধস্তি করতে হলো, মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই অবস্থায় কিছু বলার উৎসাহ পাচ্ছি না। তবে একটা (জিনিস) ভালো লাগল যে আজকে ওই খাঁচার ভেতরে আমাদেরকে ঢোকায়নি। খাঁচার বিষয়টি আমি বারবার বলতে থাকবো, কারণ এটা জাতির প্রতি অনেক বড় অপমান। এই অপমান আমাদের সহ্য করা উচিত নয়। আমি বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানাই, যথাশীঘ্র এই খাঁচাগুলো সরিয়ে ফেলা হোক। এর ব্যবহার থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মানবতার প্রতি এটা অপমান। মানুষকে পশুর মতো খাঁচায় ভরে রাখবে কেন? এটা কোনও বিচারের বিষয় না, কিছুতেই নয়-নেহাতই একটা অপমানের বিষয়। এটা সারা জাতিকে অপমানের বিষয়।” ড. ইউনূসের অভিযোগ, “আদালতে উপস্থিত যে কারও মনে হবে যে তাড়াহুড়ো করে বিচার শেষের একটা প্রচেষ্টা আছে।”
কেন ড. ইউনূসের নামে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে ও কেন তার মনে হচ্ছে যে বিচার দ্রুত শেষের চেষ্টা চলছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এসব বিষয়ের (ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ) কোনও ভিত্তি নেই। এটা ভিত্তি ছাড়া একটা মামলা, সেটা তাড়াহুড়া করে শেষ করে ফেলাটাই মনে হচ্ছে তাদের একটা বিষয়। এটা স্পষ্টভাবে বলতে পারবেন আমার আইনজীবী- আদালত তিনি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষ।`
আপনি কি প্রতিহিংসা বা রাজনীতির শিকার- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কিছু একটার শিকার হচ্ছি বটেই- এটা স্পষ্ট। এটা প্রতিহিংসা বলেন, হিংসা বলেন, বিদ্বেষ বলেন- সবকিছু মিলিয়ে।”