ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।
নিহতের ভাই ইমরান মুন্সীর ভাষ্য, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় রমজান গুলিবিদ্ধ হন। তার ডান হাতের কব্জির উপর এবং ডান বগলে গুলি লাগে।
বুধবার রাতেই রমজানকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর একদিন বাদে তার মৃত্যু হলো। গোপালগঞ্জের সহিংসতার ঘটনায় সুমন বিশ্বাস (৩০) ও আব্বাস আলী (৩০) নামে আরও দুই গুলিবিদ্ধ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এসব ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
সংঘাতের শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারফিউয়ের মেয়াদ শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া কারফিউয়ের মধ্যে থমথমে হয়ে পড়া শহর এখন অনেকটা শান্ত। তবে শহর ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকদের অনেকে এলাকা ছেড়ে গেছেন।