বিচারের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় শহীদ মুগ্ধের পরিবার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

বিচারের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নয় শহীদ মুগ্ধের পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

আর কখনোই হাওরে যাবে না শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের পরিবার। কেননা ঘাতকের বুলেট, ৩ ভাই আর বাবা-মা মিলে মুগ্ধর হাওর দেখার স্বপ্ন, প্রতিক্ষণে দুঃস্বপ্ন হয়ে তাড়া করে পরিবারটিকে। তাদের চাওয়া মুগ্ধসহ সকল শহীদ পরিবার যেন সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ সম্মানটুকু পায়।

মুগ্ধর বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত জানান, নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি ফুটেজসহ সব তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েও বিচারের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নন তারা। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিজিটাল।

২৪ এর গণ-আন্দোলনে উত্তাল জুলাইয়ের ১৮ তারিখে উত্তরার আজমপুরে এভাবেই সহযোদ্ধাদের পিপাসা মেটাতে গিয়ে ঘাতকের গুলিতে শহীদ হন মেধাবী ছাত্র মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। নির্মম মৃত্যুর সেই দৃশ্য মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা দেখে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠে গোটা জাতি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গনিতে স্নাতক শেষ করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিউপিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়েছিলেন মুগ্ধ। ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। যার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ফ্রিল্যান্সার প্লাটফর্ম ফাইবার।

মুগ্ধর বড় ভাই জানান, ভ্রমণ পিপাসু মুগ্ধ ১৭ জুলাই বাবা-মা ও তাকে তুলে দেন কক্সবাজারের বাসে। ২০ জুলাই জমজ দুই ভাই মুগ্ধ-স্নিগ্ধের যাওয়ার কথা টাঙ্গুয়ার হাওর। কিন্তু তার আর হাওর দেখা হলো না।

মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত বলেন, ‘ও টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার আয়োজন করেছিল। ১১ জন বন্ধু, সব আয়োজন করেছিল ও। আর তো যাওয়া হলো না। কোনোদিন পরিবারের কেউ আর হয়তো যেতে পারব না।’

জুলাই শহীদ মুগ্ধ হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে হতাশা তার পরিবার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তথ্য-প্রমাণ দেয়ার পরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই বলে মনে করেন ভাই দীপ্ত।

মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সবকিছু জমা দিই। সেখানে অভিযোগ জমা দিয়েছি। কারও নাম সেখানে দেইনি। সবার কাছে একটা জিনিসই চেয়েছি, বিচারটা। কিন্তু সেটা নিয়ে দৃশ্যমান কিছু পাইনি, যা আমাদের খুবই হতাশ করছে।’

তিন ভাই মিলে আর কখনো যাওয়া হবে না ভ্রমণে আক্ষেপ করে দীপ্ত বলেন, ভাইয়ের খুনের শাস্তিই এখন তাদের একমাত্র সান্ত্বনা। একটাই প্রত্যাশা প্রতিটি শহীদ পরিবার যেনো পায় ন্যায্য বিচার ও প্রাপ্ত সম্মানটুকু।

Link copied!