বেইলি রোডের ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না : ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

বেইলি রোডের ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না : ফায়ার সার্ভিস

ছবি: সংগ্রহীত

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বেইলি রোডে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটা ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনটিতে কোন প্রকার অগ্নিনিরাপত্তা ছিলোনা বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মইনুদ্দিন আহমেদ।

আজ (শুক্রবার) আগুনের পোড়া ভবনটি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, “এই বিল্ডিংয়ে কোনও ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা ছিল না। আমরা দুই একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দেখেছি, যা ছিল তা প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম । এই ভবনে একটি মাত্র পথে এবং যে রুমে মানুষ বাঁচার জন্য আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে বাতাস চলাচলেরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না।”

তিনি আরও বলেন, "ভবনটি ফায়ার সার্ভিসের নিয়মিত মনিটরে ছিল না কি না জানতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জানান, “তদন্ত কমিটির তদন্তের পর বলা যাবে। এখনই বলতে পারছি না।”

 

ভবনটির পূর্বের কিছু ছবিতে দেখা যায় যে, ভবনটির ভেতরে এবং পার্কিংয়ের প্রবেশ মুখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাসের সিলিন্ডারে রাখা হতো। এতেই আগুন দ্রুত ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটি পরিদর্শন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসেদ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২ টা ১০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তারা ভবনটি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। এই ভবনে একটি মাত্র সিঁড়ি আছে। যেখানে মানুষ পড়েছিল সেখানে কোঁও ভেন্টিলেশন নাই।”

তদন্ত কমিটির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা দেখতে চাই এই ভবনের সব রকমের কাগজপত্র আছে কিনা। আমরা তদন্ত করছি, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি। পরিকল্পনা মোতাবেক এ ভবন নির্মাণ হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন “তদন্তে কারও গাফিলতি পেলে আমরা তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করব”।  

আরও পড়ুন: ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ সব তলাতেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার; এমনকি সিঁড়িতেও 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মারা গেছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন। সকলের অবস্থাই শংকটাপন্ন বলে সকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ঐ ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। জানা যায় ভবনটির নিচতলায় একটি মোবাইল সরঞ্জামের দোকান ও একটি কাপড়ের দোকান ছিলো। এছাড়া পুরো সাত তলা  ভবনটিতে ‘কাচ্চিভাই, শেইক্যাহোলিক, ক্যাফে ফেমাসের’ মত জনপ্তিয় বেশ কয়েকটি রেঁস্তোরা ছিলো।

ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রায় ২ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন গতকাল রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে।

Link copied!