জুন ৯, ২০২৪, ০৩:৩৮ এএম
গুলশানের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে আরেক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জাপান দূতাবাসের একজন গাড়িচালক। শনিবার (৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশ কনস্টেবল হলেন মনিরুল। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা। ২০১৮ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। আহত গাড়িচালক হলেন জাপান দূতাবাসের সাজ্জাদ হোসেন।
এদিকে গুলিবর্ষণকারী কনস্টেবল হলেন কাউসার আহমেদ। ঘটনার সময় উভয়েই ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে থাকা পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ঘটনাস্থলের কাছেই দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য জানান, তিনি এসে দেখেন, একজন পুলিশ সদস্য ‘উন্মাদের মতো’ আচরণ করছেন। পাশে আরেকজন পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ পড়ে আছে। সেই সঙ্গে একটি অস্ত্র পড়ে আছে ও অনেকগুলো গুলির খোসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
পাশের ভবনে দায়িত্ব পালন করতে থাকা একজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, রাতে ভবনের ফটকে বসেছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে দৌঁড়ে ভেতরে চলে যান। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাইরে এসে দেখেন থমথমে অবস্থা। সড়ক ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পুলিশের পোশাকে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
ঘটনার খবর পেয়েই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা। তারা আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখেন। সেখানকার ফুটপাত ও রাস্তায় রক্তের দাগ দেখা গেছে। নিহত কনস্টেবলের মরদেহ পড়েছিল দূতাবাসের গার্ডরুমের পাশের ফুটপাত ঘেঁষে রাস্তার ওপর। এ সময় ৮-১০টি গুলির খোসাসহ ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল দায়িত্বরত ছিলেন। তাদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে।