ছাগলকাণ্ড: স্ত্রী-ছেলেসহ মতিউরের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২৪, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

ছাগলকাণ্ড: স্ত্রী-ছেলেসহ মতিউরের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

‘ছাগল-কাণ্ডে’র ঘটনায় এবার দেশ ছেড়ে পালানোর গুঞ্জনের মধ্যেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। পরিবারের বাকি দুই সদস্য হলেন- মতিউরের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ও তার ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব।

দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের একজন আইজীবী।

এই আবেদন করেছেন দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী।

আবেদনে বলা হয়েছে, এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন, তাই তাদের বিদেশ যেতে বাধা দিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। তাছাড়া তারা বিদেশে অর্থ পাচারেরও চেষ্টা করছেন।

এর আগে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

বিগত কোরবানির ঈদে ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকার ‘ছাগল কেনা’ ইস্যুতে তোপের মুখে পড়েন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান। দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত হতে থাকেন এই কর্মকর্তা। পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (কাস্টমস, এক্সাইজ) ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মো. মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তাকে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে কোরবানির ঈদের ছুটির পর অফিস খুললেও তিনি আর অফিসে আসেননি। তার বিভিন্ন বাসভবনে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি। একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদও হারিয়েছেন তিনি।

২০০৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার থাকার সময় মতিউর রহমানের উত্থান। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক জায়গায় পদায়ন হয়েছে তার। বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাটের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময় বিভিন্ন কম্পানিতে ভ্যাট দাবি করে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই ধরনেরই একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে এনবিআর ও দুদককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে রহস্যজনক কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সংস্থা দুটি।

Link copied!