ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ: বিএনপির ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১৯, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম

ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ: বিএনপির ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

গতকালের সংগৃহীত ছবি

ফেনীতে মঙ্গলবার বিএনপির পদযাত্রা শেষে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি’ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারীসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাব এলাকা, খেজুর চত্বর ও ইসলামপুর রোডের মাথায় এসব ঘটনায়  বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হায়াত আলী বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামমঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হায়াত আলী বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আছে দুই হাজারের মতো। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাফুজুর রহমান মামলার বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মো, মাহফুজুর রহমান বলেন, “ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এক এস আই এই মামলা করেছেন। মামলায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাপ্রধান, পুলিশের ওপর হামলা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে ।”

ফেনী মডেল থানার  এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “ পুলিশের দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ৮৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০০ থেকে ২০০০ জন। মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামি স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার  ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রা শেষে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি’ শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারীসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাব এলাকা, খেজুর চত্বর ও ইসলামপুর রোডের মাথায় এসব ঘটনা ঘটে।

এসময় শহরের প্রধান সড়ক ট্রাংক রোড ও প্রেসক্লাবের আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ফেনী প্রেসক্লাবসহ আশপাশের কয়েকটি ভবনের দরজা-জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ সময় সড়কে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে প্রথম দফা সংঘর্ষ হয়। বিএনপির পদযাত্রা চলাকালে শেষ মুহূর্তে শহরের ট্রাংক রোডের খেজুর চত্বর ও ইসলামপুর রোডের মাথার সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ সময়পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Link copied!